২৮ অক্টোবর ২০২৫ - ০৪:২৩
আইরিশ প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিজয়ী হচ্ছেন ফিলিস্তিনিপন্থী ক্যাথেরিন।

আয়ারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট ক্যাথেরিন ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ বলে আক্ষায়িত করেছিল।

আহলে বাইত (আ.) বার্তা সংস্থা (আবনা): গাজায় ইসরায়েলি অভিযানকে ‘গণহত্যা’ এবং ইসরায়েলকে ‘সন্ত্রাসী রাষ্ট্র’ মন্তব্য করে আলোচনায় আসা স্বতন্ত্র প্রার্থী ক্যাথেরিন  কনলি এখন আয়ারল্যান্ডের নতুন প্রেসিডেন্ট।




 নির্বাচনে তিনি বিপুল ব্যবধানে জয়ী হয়ে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বাধিক ভোটপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হয়েছেন।


তিনি গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যার তীব্র সমালোচনা করেছেন। নির্বাচনে তাকে উগ্র বামপন্থি দলগুলো সমর্থন দিয়েছিল।


আয়ারল্যান্ডের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট গণনায় দেখা গেছে যে ক্যাথেরিন কনলি ৬৪ শতাংশ ভোট পেয়ে দেশের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে স্পষ্টভাবে বিজয়ী। ৬৮ বছর বয়সী কনলি অনেক তরুণ আইরিশ জনগণের সমর্থনে নির্বাচনে জয়লাভ করেন।

পররাষ্ট্র নীতির ক্ষেত্রে, তিনি ফিলিস্তিনের একজন কট্টর সমর্থক এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমালোচক। ৬৮ বছর বয়সী কনলি ৬৩ শতাংশ ভোট পান, যেখানে তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ফিনে গেল দলের হিদার হামফ্রেস পান ২৯ শতাংশ ভোট।

বিজয়ী হওয়ার পর কনলি ভক্তদের উদ্দেশে বলেন, 'আমি শান্তির বাণী প্রচার করতে চাই। নিরপেক্ষতার বাণী প্রচার করতে চাই। জলবায়ু পরিবর্তনের মতো হুমকিগুলো নিয়ে কথা বলতে চাই।'

তিনি আরও বলেন, 'আমি সবার কথা শুনতে এবং সেই মোতাবেক কাজ করতে চাই। প্রয়োজনের সময় সরব থাকতে চাই। সবাই মিলে নতুন দেশ গড়তে চাই যেখানে সবার মূল্যবোধ সম্মান পাবে।'

আইরিশ পার্লামেন্টের প্রধান বিরোধীদল সিন ফেইনও কনলির প্রতি সর্বাত্মক সমর্থন জানিয়েছে। দলের সভাপতি মেরি ম্যকডোনাল্ড এই বিজয়কে 'অভাবনীয়' বলে অভিহিত করেছেন। তিনি এই বিজয়কে বিরোধীদেরও বিজয় বলে আখ্যা দিয়েছেন।

গত জুনে নিজের ফেসবুক পেজে নির্বাচনী প্রচারণার সময় এক ভিডিও বার্তায় কনলি বলেন, 'আমরা যদি এখনই ইসরায়েলকে সন্ত্রাসী রাষ্ট্র হিসেবে ঘোষণা না দিই তাহলে ভয়ানক সমস্যা হবে।'

ইরানের পরমাণুকেন্দ্রে ইসরায়েলি হামলারও নিন্দা করেছিলেন কনলি। তিনি গাজায় ইসরায়েলি সামরিক অভিযানকে 'গণহত্যা' বলেও মন্তব্য করার পাশাপাশি ইসরায়েল সরকারের নীতির তীব্র সমালোচনা করেছেন।

যুক্তরাজ্যের ক্ষমতাসীন লেবার পার্টির সাবেক প্রধান জেরেমি করবিনের ইসরায়েল বিরোধিতার সঙ্গে তুলনা করে অনেকে ক্যাথরিন কনলিকে 'ডাবলিনের করবিন' বা 'আইরিশ জেরেমি করবিন' বলেও ডাকেন।

Tags

Your Comment

You are replying to: .
captcha